গনগনে আঁচে কবিতা বাঁচে
ওদের ঠিকানা ‘ঢিবির পার ‘!
ওদের কথা কি বলি আর ?
ওখানে মেঘ রাত দিন ….
ওখানে সূর্য উদাসীন।
ওই দেখছো ! মিশকালো রং অস্থিসার
বছর তিন কুড়ি করেছে পার ,
ওই তো সেই সুভদ্রা আমার!
আমিও ওর দিদিমণি ডাক্তার।
ওর ঘরে আর , নেই দুই
স্বামীটা ছেড়ে গেছে কবেই ।
একমাত্র ছেলে মাকে ভুলে
আছে বহাল তবিয়তেই।
ছোট্ট মেয়ে ! ছোট্ট গড়ন!
ও মেয়ে তো স্বপ্না।
শাশুড়িকে মা ডাকে ও
রাত্রি দিন , সংসার নিয়ে ভাবনা।
ছেলেমেয়ে ইস্কুলে যায়
সকাল বিকেল দিন ছুটে যায়. …
ন-বাড়ি , বাসন মাজায়।
চোখ হাসছে মুখ হাসছে ,
জব্দ করে কান্না।
বিশ্বজিৎ তো হামেশাই বলে,
ওর স্বপ্না ! অনন্যা।
ঝুপড়ি এখানে সারি সারি
শম্ভু থাকে পাশের বাড়ি
ওদের সাথেও সুখের আড়ি।
বুলটি কিছু অসুস্থ হলে
শম্ভু ওর কষ্ট বলে।
বকতে গেলে বুঝিয়ে বলে,
রাগ করোনা দিদিমণি!
আমি ওর সবটা জানি।
ভালোবাসা দেখি, বসে বসে!
ভাঙা ঘরে চাঁদ হাসে ।
ছেলের নাম রেখেছে সার্থক!
বুক কেঁপেছে শোনা তক্।
আপনি আজ্ঞের বালাই নেই
সম্মান টন্মান রাখে দূরে।
আমায় ওরা পর করেনি
নিয়েছে নিবিড় আপন করে।
হাঁড়ির খবর , নাড়ির খবর…..
আমি ওদের সবটা জানি
ওদের ডাক্তার দিদিমণি ।
পুড়ছে জীবন ,
গনগনে লাল দগ্ধ আঁচে,
ওদের তবু স্বপ্ন বাঁচে।
বাচুক ওরা ! ওরা বাঁচুক!
কান্না মুছে সুভদ্রা হাসুক !
শম্ভু উঠুক , হাঁটুক ছুটুক . …
স্বপ্না আকাশ প্রদীপ জ্বালুক!
কৃপণ সূর্য! লজ্জা শিখুক।!