সৃষ্টির অবক্ষয় ছায়া ফেলেছে শেষ দ্রাঘিমাতে
চোরা বালি শুষে নেয় সুর্যের বিকিরণের ঘনত্ব।
অন্ধকার তলদেশে শুধু ক্রমশ তলিয়ে যাওয়া
সময় অপেক্ষা রাখে না এক পলকের প্রতিবিম্ব ।
ছায়া মিলিয়ে যায় বিষুব রেখার সরল প্রান্ত ধরে
তপ্ত বালু রশিতে অকস্মাৎ ওঠে প্রবল বালু ঝড়।
মরুভূমির জাহাজ দিশা হীন উদভ্রান্ত ,পথ খোঁজে
আরেকটা পৃথিবীর প্রতিবিম্ব হয়তো ভেসে ওঠে।
হিমালয় গিরি চূঁড়ায় প্রখর সূর্যের প্রথম রশ্মি
স্বর্ণালী রাজ মুকুটে অধীশ্বর হিমশীতল হিমবাহ।
যোগ নিদ্রা ভঙ্গে ঋষির ভ্রুকুটি তির্যক দৃষ্টি হানে
পাতালের গোপন সুড়ঙ্গে অধীশ্বর গোপন বৈঠকে।
প্রলয়ের জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পরে ভীষণ গর্জনে
আরেকটা নিমজ্জিত পৃথিবীর হয়তো পুনরুত্থান।
পোড়া আকাশ ,শুধু জ্বলতে থাকে রাবণের চিতা
গোপন সুড়ঙ্গের খাঁজে আটকে থাকা কিছু কচুরিপানা।
অসংখ্য কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই মাননীয় বিচারক মন্ডলীকে আমার লেখা কবিতাটি মনোনীত করবার জন্য।