গ্রামীণ প্রবাদবৃত্তান্ত।।
সাজন্যার শাক সিজে না
বু ড়্যা ভাতার মজে না ।
গ্রামে গঞ্জে শজনে ডাঁটা ও শাক খাওয়ার প্রচলন ছিল বা আজও আছে। এখন হাটে বাজারে শজনে শাক বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সেদিন সহজ লভ্য ছিল। চিরদিনই গ্রামীণ মানুষের জীবন কাটত দুঃখে-কষ্টে। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, পান্তা আনতে নুন —এই রকম একটি অবস্থা বিরাজ করত। গ্রাম্য বধূরা তরকারির অভাবে অনেক সময় শজনে শাক সহজ লভ্য ছিল বলে রান্না করে খেত। আসলে কী শজনে পাতা সেদ্ধ হত না। খাবার সোডা মিশিয়ে দিলে সেদ্ধ ভালো হয় কিন্তু সোডা কেনার সামর্থ ছিল না। তাই কম সেদ্ধ শাক সবজি খেয়ে দিনপাত করত। আবার বৃদ্ধ স্বামী বয়সের ভারে ন্যুব্জ। সংসারের কোন চাহিদা মেটাতে পারে না। তাই হয়তো বৃদ্ধ স্বামীর স্ত্রীর মুখনিঃসৃত উপরিউক্ত প্রবাদটি।
গাছে কাঁঠাল
ঠোঁটে তেল।
অথবা, গাছে না উঠতেই
এক কাঁদ।
গায়ে কাঁটাযুক্ত গ্রীষ্মের ফলবিশেষ। কাঁঠাল নিয়ে নানা প্রচলিত কথা আছে। যেমন,কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো, কাঁঠালের আমসত্ত্ব, পিরীতি কাঁঠালের আঠা লাগলে ছাড়ে না ইত্যাদি। কাঁঠাল কাঁটাযুক্ত ফলতো বটেই তারপরও কাঁচা ও পাকা কাঁঠালে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঠা পরিলক্ষিত হয়।এঁচড় বা কাঁঠালের ঝাল তরকারি হিসেবে খেয়ে থাকি আমরা। এবং পাকা কাঁঠালের কোয়া খেয়ে থাকি। সমাজে এক শ্রেণির লোক আছে যা নয় তাই করার জন্য উদ্বেলিত হয়ে বলে বেড়ায়। কিন্তু তার দ্বারা সেই কাজ করা কিছুতেই সম্ভব না। মোদ্দা কথা দ্রুত কার্যসাধনের জন্য অস্বাভাবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে । আসলে কাঁঠাল খেতে হলে অনেক ঝক্কি সামলিয়ে তবেই খাওয়া যায়। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে আগেই ঠোঁটে তেল মাখিয়ে বসে থাকে।
হলুদ জব্দ শিলে
ভাতার জব্দ কিলে।
হলুদ পীতবর্ণ, কঠিন কন্দবিশেষ। প্রধানত মশলারূপে ব্যবহৃত হয়। মশলারূপে ব্যবহার করার আগে গুঁড়ো করতে রীতিমতো শিলনোড়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।পাটা বা শিলে রেখে নোড়া দিয়ে ঠুকে ঠুকে থ্যাঁতলে গুঁড়ো করতে হয়। অবশ্য বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতিতে এই কাজ সারছে গৃহবধূররা। এই প্রবাদের আড়ালে লুকিয়ে আছে সংসার বিবাগী স্বামীকে জব্দ করার কাহিনি।ঘরকন্না করার সময় দেখা যায় সমাজে একশ্রেণির স্বামী এতটাই উড়নচণ্ডী যে তার সঙ্গে ঘরকন্না করা যায় না। স্ত্রীর পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেলে স্বামীকে নানা ব্যবস্থায় সোজা করার নামই ভাতার জব্দ কিলে।
পেটে নাই ভাত
নাঙের উৎপাত।
অথবা, পেটের জ্বালায় নাঙ
তার আবার ধার।
প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই সমাজে ব্যাভিচারের কথা জানা যায়। একশ্রেণির নারী চারিত্রিকদোষে নাঙ করে সতীত্ব নষ্ট করে। আর এক শ্রেণির নারী সমাজে বিভিন্নভাবে অত্যাচারের শিকার হয়ে তারা তাদের সতীত্ব নষ্ট করে ফেলে।পেট বড় দায়।তার যখন কেউ ভরণপোষণের দায়িত্ব নেই না তখন তার সতীত্বটুকু খুইয়ে দিনপাত করে। একশ্রেণির ষণ্ডা মার্কা পুরুষ তাদের শরীর ভোগ করবে ঠিকই কিন্তু সেই রমণীর পেটের জ্বালা মেটানোর অর্থ দেবে না।বাকির নামে ফাঁকি। এই রকমই কোনো এক নারী তার সহজাত ধারনা থেকে এমন উক্তি করেছেন। এই রকম নোংরামি দেখলেই যা আজও মানুষের মুখে মুখে ঘোরাঘুরি করছে।
গরু মেরে, জুতো দান।
এই প্রবাদটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিম্নরূপ। সমাজে কিছু মানুষ আছে জেনেশুনে কার বড় ক্ষতি করে আবার তারই সামনে সাধু সেজে মুখে আহা করে দুঃখ প্রকাশ করে ।
যার মেয়ের বিয়ে তার মনে নেই
আর পাড়াপড়শির চোখে ঘুম নেই।
মেয়ে বড় হলে বাবা-মায়ের চোখের ঘুম উড়ে যায়। কন্যাদায় গ্রস্থ মা-বাবা সবসময় চিন্তা করে কখন মেয়েটাকে পাত্রস্থ করব। এদিকে পাড়াপড়শিরাএকটু উপকার করা দূরের কথা সুযোগ বুঝে ভিত্তিহীন সমালোচনা করে বেড়ায়। এই দুঃখে কাতর হয়ে কোনো কন্যাদায় গ্রস্থ মা-বাবার মুখনিঃসৃত উপরিউক্ত প্রবাদটি।
হায়রে কলিকাল
কুকুরের গায়ে আলুর ফল।
বর্তমান সমাজে কারো বোধ বিদ্যা কম হলেও বেপথে উপার্জনের কালো টাকা আছে তাই তারা সমাজে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাদের নামের আগে বিশেষন জুড়ে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ, ভদ্র, ঘরের লোক, সমাজসেবী । তাদের ভাগ্যে জুটছে যশ ও খ্যাতির চূড়ায় স্থান। হিতাহিত জ্ঞান নেই তবু সমাজ ও দেশের একজন , সর্দার। জ্ঞানীরা চুপচাপ আর তারা নামিদামি মানুষের তকমা পাচ্ছে দেখে এই প্রবাদের উদ্ভব হয়েছে।
গুড়ের মিষ্টি উঠে গেল
ছাতু হলো ঝাল।
এক সময় গাঁ ঘরে প্রচুর আখের চাষ হতো। ভূস্বামীরা সারা বছর গুড়ের জোগান পেতে আখ মাড়াইয়ের পর মজুত রাখত।গুড় দিয়ে নানা ধরনের মিষ্টি খাবার তৈরি করে খেত। গুড়সহযোগে মুড়ি,রুটি ও ছাতু ভক্ষণ করার রেওয়াজ ছিল। এখন গ্রামগুলোতে আখের চাষ হয় না বললেই চলে।ছাতু খাওয়া প্রথা বিলুপ্তের পথে।
কি বলব খোদাকে
ধন দিয়েছে গাধাকে।
প্রবাদটি শুনে মনে হচ্ছে অশ্লীল কিন্তু ভাবার্থ এই রকম, গাধা নির্বোধ প্রকৃতির পশু।সে ধন পেয়েও যথাযোগ্য জায়গায় ব্যবহার না করে এলেবেলে সময় ও জায়গায় ব্যবহার করে থাকে।যারা ধনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে কিন্তু তাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধন নেই। উপযুক্ত ব্যক্তির একটা খেদোক্তি।
কাজের মধ্যে দুই
খাই আর শুই।
এই সমাজে এক শ্রেণির অলস লোক আছে।এরা কোনো কাজকর্ম করে না।সংসারের অনেক কাজ পড়ে থাকলেও খাওয়া আর শোয়া ছাড়া কিছুই বোঝে না। এই রকম অলস মানুষগুলোকে ভর্ৎসনা করার জন্য প্রবাদটির সৃষ্টি হয়েছে।
ল্যাংড়ী ল্যাংড়ী পাকা পান
গু খাবিতো মালোই আন।
এই প্রবাদে হাসি ঠাট্টার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।সামাজে কিছু প্রতিবন্ধীর দেখা মেলে।এরা কাজের কাজ কিছুই করতে পারে না কিন্তু রাগ ষোলো আনা থাকে। এই রকম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ছেলে ছোকরারা ঠাট্টা তামাশা করে থাকে।
যে আইলো চষ্যা সে থাকলো বস্যা
লাড়া কাটাকে দে ঠুস্যা ঠুস্যা।
এই প্রবাদে কাজের লোক, অকাজের লোকের কথা বলা হয়েছে। আমরা জানি মাঠে হাল চালানো বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু লাড়া(ধানের খড়)কাটা অপেক্ষাকৃত সহজ সাধ্য। হয়তো খাবার সময় হাল চাষের কৃষাণ অবহেলিত আর বিচালি কাটার পাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পড়ছে দেখে প্রবাদ সৃষ্টি কর্তার মুখে থেকে উপরোক্ত কথাগুলো বেরিয়ে এসেছে।
ছোটলোকের ছেলে হয় যদি ভাগ্যবান
বার বছর যায় না তার খুদের ব্যাখান ।
এখানে চরিত্রের কথা এসেছে। কোনো ক্ষুদ্র ব্যাক্তি হঠাৎ ধনসম্পত্তির মালিক হলেও তার চরিত্রের মধ্যে সবসময় গরীবয়ানা ও নীচ মনের পরিচয় পাওয়া যায়।সে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে না।
আবার,
বড়োলোকের ছেলে যদি হয় ভাগ্যহীন
বার বছর যায় না তার বড়োলোকি চিন।
এখানেও চরিত্রের কথা উত্থাপিত হয়েছে। তবে, পূর্বের বিপরীতে। এই প্রবাদে বিত্তশালী কোনো কারণে হতদরিদ্র হয়ে পড়ে গেলে তবুও তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয় বড়োলোকি চিহ্ন।ঠাটবাট ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকে।
হাল্যার হাল ধরো না
আর ,
পোয়াতির ছেল্যা ধরো না।
মাঠে হালচাষী হাল চাষ করতে করতে রীতিমতো পেরেশানির স্বীকার হয়। আশেপাশে কাউকে দেখতে পেলে তাকে হাল ধরতে দিয়ে আরাম সারে। এবং হালের কাছে আসতে চাইনা। এই রকমই পোয়াতির হাতে সংসারের অনেক কাজকর্ম থাকে।একটু ফুরসৎ নেবার জন্য তার আদরের সন্তানকে কারও কোলে দিতে পারলে আর নেবার কথা ভাবে না। অন্যের সময় যতই বয়ে যাক না কেন।
হাল ছেড়েছে হল্যা
আর,
পোয়াতি ছেড়েছে ছেল্যা।
মাঠে হাল জুড়েছে কৃষক। পোয়াতি বাড়িতে ঘরকন্নার কাজে ব্যস্ত। এমন সময় আকস্মিক, বিস্ময়কর আনন্দদায়ক কিংবা বেদনাদায়ক যে কোনো ঘটনার রব উঠলো। তখন পোয়াতি কিংবা কৃষক —এক কথায় আবালবৃদ্ধবনিতা নিজের কাজ ছেড়ে দৌড় দেয় ঘটনার দিকে এবং প্রচুর লোকের ভীড় জমে। তাই দেখে উপরোক্ত উক্তি জুড়ে দেয় বৃদ্ধলোকেরা।
গলা নাই গান করে মনের আনন্দে
বৌ নাই শ্বশুর বাড়ি যায় আগের সমন্ধে।
কিছু লোক দেখা যায় গুন গুন করে গান গাইছে। কিন্তু তলা গলা কিছুই নেই। তবুও বেসুরো গলায় গান গাইছে। এমনই লোক আছে তার বৌ নেই হয়তো মারা গেছে। তবুও যখন তখন শ্বশুর বাড়িতে যায়। এইসব লোকগুলোকে দেখেই এই প্রবাদের উদ্ভব হয়েছে।
বাড়ির কাছে কামার
ফাল পুড়িয়ে দে আমার।
আগের দিনে কাজের মজুরি অর্থ দিয়ে পরিশোধ না করে ফসল — ধান, চৈতালি দিয়ে পরিশোধ করা হত।এই ব্যবস্থাকে মুচির,কামারের নাপিতের “পাঁজা” বলা হত।এখন ঘটনা হল বাড়ির কাছে কামারশালা পেয়ে হরহামেশাই গেরস্ত মানুষ ফাল শান দিতে যায়। হয়তো কাছে বলেই সম্ভবপর কিন্তু দূরের ঘাটা -পথ হলে যখন তখন যেতে পারতো না। বিরক্ত হয়ে কামারের এই উক্তি।
গরিবের ছেলে কম্বলে বসে
আর মনে মনে হাসে।
কম্বলে বসা মানেই আভিজাত্যের পরিচয়। কোনো একসময় জোতদার জমিদারের বসার বিশেষ বস্তু ছিল।এখন কিছুটা এর ব্যবহার কমে এসেছে। যাহোক, একদিন যে-কোনো ভাবে গরিবের এক ছেলের বসার সুযোগ হয়েছে। কম্বল ভেড়ার লোমে তৈরি বলে খসখস করে।তাতে বসলে কিছুটা কুটকুট করে। গরিবের ছেলে বসা মাত্র তার পাছা কুটকুট করছে তাই সে বড়োলোকির এই বস্তুকে ও বাবুদের তাচ্ছিল্যের সুরে হাসি শোনাচ্ছে। আবার এও হতে পারে গরীব কোনোদিন কম্বলে বসতে পাই না। কোনো একসময় বসার সুযোগ পেয়ে মনের আনন্দে মুচকি মুচকি হেসেছিল।এই কারণেই প্রবাদটির সৃষ্টি।
যার পরনে কানি
তার কথা পানি পানি।
যতই বোধ বিদ্যা থাকুক না কেন তার যদি ধনসম্পত্তি না থাকে তাহলে তাকে কেউ পাত্তা দেয় না।বোকা, নির্বোধ হলেও কোনো ব্যক্তির যদি ধনসম্পত্তি থাকে তার হাকডাক বেড়ে যায়। সমাজের উঁচু স্থানে ঠাঁই হয়। জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও জীর্ণ বস্ত্রখণ্ড বা ন্যাকড়া পরা লোকগুলো অর্থাৎ হতদরিদ্র মানুষ যতই মূল্যবান, সমসাময়িক বিষয়ে নানা জ্ঞান প্রদান করুন না কেন সমাজে গুরুত্ব পায় না।
যাঁর পরনে ভুনি
তাঁর কথা দাঁড়িয়ে শুনি।
যাঁরা ধোপদুরস্ত কাপড়- চোপড় পরিধান করে তাঁরা সমাজে উচ্চ মার্গের লোক বলে গণ্যমান্য।অথচ সে সমাজ সচেতন নয়।সে যতই এলেবেলে কথা বলুক না কেন তাঁর কথা সাধারণ মানুষ নির্দ্ধিধায় মেনে চলে।
যে বুনে সেটে
সে মরে খেটে।
গরিবগুবরো ,হতদরিদ্র মানুষ খেটে খেটে জীবনপাত করে আর উপর মহলের বাবুরা ঠ্যাংয়ের উপর ঠ্যাং তুলে বা ধুতির কোচড় ধরে পান চিবোতে চিবোতে ঢেকুর তুলে বেড়ায়। প্রবাদের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিম্নরূপ। একজন খেটে মরে অন্য জন পোদ্দারি করে।
যে বুনবে কেলে
সে পুষবে মাগ ছেলে।
অজ্ঞাত প্রবাদ কর্তা এই প্রবাদের আড়ালে বোঝাতে চেয়েছেন — যে,যে ব্যাক্তি কাজকে ভয় না করে কাজ করতে ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছুক বা পারে।তার হাঁড়ি উপুড় থাকে না। সবসময় চিৎ থাকে। এবং সে সন্তান সন্ততি নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। কোনো কাজকে ছোট বা খাটো ভাবলে চলবে না।অলস ভরে শুয়ে বসে দিন যেন না গুজরান করি আমরা।
দুধ নেবেন তাড়াতাড়ি
ধরব পালির বাড়ি।
দুধওয়ালারা পালা করে ক্রেতাদের বাড়ি বাড়ি দুধ পৌঁছে দেয়। ক্রেতা যত তাড়াতাড়ি দুধ নেবে তত তাড়াতাড়ি অন্য বাড়ির পালি ধরতে পারবে। দেরি হলে সব বাড়িতে সঠিক সময়ে দুধ পৌঁছে দিতে পারবে না। গৃহ স্বামীর কাছে বা গৃহনীর কাছে আরজি জানায়।
যায় যদি ঘোষ
নেবে না দোষ।
দুধওয়ালাদের প্রত্যেক বাড়িতে পালি থাকে। পর্যায়ক্রমে হাঁক দিয়ে ক্রেতাকে জানান দেয়। গৃহনী যেন তাড়াতাড়ি তাদের দুধ নিয়ে নেয়।দেরি হলে অন্য বাড়ির গৃহনীর কাছে বকা খেতে হবে।তাই তাড়াতাড়ি দুধ না নিলে চলে যাব তখন কোন দোষ দিতে পারবেন। (চলবে…)
খুব সমৃদ্ধ প্রবন্ধ ।
কিছু প্রবাদ আবার একটু ভিন্ন রূপেও পাওয়া যায়। যেমন, “হলুদ জব্দ শিলে/বউ জব্দ কিলে বা ঝি জব্দ কিলে” এই প্রবাদে সেই সময়ে সমাজে বৌ বা মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী প্রকট হয়েছে।
আবার, “জুতো মেরে গরু দান” অর্থাৎ প্রথমে অপমান তারপরে সেই অপমানের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ গোদান।