ওকে একটু জল দাও, এবার ও ঘুমাবে
একটা চাকার তলায় পড়ে আছি
জানি গাড়িটা একদিন গড়াবে
তোমার কি ক্ষমতা বলো
তাকে দাঁড় করাবে।
আজকে আমি ভাতঘুমে মগ্ন
সেদিন সব হবে ভগ্ন
তুমি রাত জেগে লিখেছো যে উপমা
তা হবে দাবানলের দামামা
চিতা যত জ্বলবে
মানুষ তত তোমার লেখা কবিতা বলবে।
সেদিন দেখো না আকাশের চাঁদ
তাকে তো চিতা ভেবেই হয়েছো বরবাদ।
আকাশের চাঁদ যখন চিতার আগুন
ক্ষণিকের দাবানল আনবে ফাগুন
আগুন অলঙ্কার হয়ে উঠবে গায়ে
মনুষ্যচেতনা ফিরে ফিরে আসবে
ডোমেদের ঘায়ে।
আমি সেদিন উবু হয়ে বসে যাত্রাপালা লিখবো
আবার নতুন করে মরতে শিখবো।
মানুষ মারার কলগুলো বিকল হলে
রাতের বেলা গাছেরা কথা বলে।
মেঘ ও নেমে আসে ঘাটে
সকাল হলেই চারিদিকে বারুদের গন্ধ
আমি মানুষ না রোবট আমার তাই দ্বন্দ্ব
সেই থেকে চাকার তলায় শুয়ে
সময়ের অপেক্ষায় কখন আমার রক্ত যাবে ধুয়ে।
ছিয়াত্তরের মন্বত্তর নেমে এসেছে ভাতের হোটেলে
‘মাইরি হেব্বি টেস্ট’ মাতালেরা বলে
হাতে রক্ত, মুখে কালি
ওরা আমাদের সন্তান বনমালি।
তুমি আমার কবর ছুঁয়ে
আমি তোমার শ্মশান
শতাব্দীর ইতিহাসে লেখা হবে মনুষ্যত্বের অবসান।
একবার শাঁখ বাজাও একবার দাও আযান
ধর্মগ্রন্থ গুলো মানুষের কথা বলে গেছে
আজ আলোর নীচে পশুদের অবস্থান।
তারাও রিভলভার ধরতে শিখে গেছে
মানুষ কবেই হারিয়েছে কলম
চারিদিকে ক্ষত আর শুধু ক্ষত
কোথায় লাগাবে সান্ত্বনার মলম?
বেদম প্রহারে গরীবের ছেলেটা ধুকছে
রাস্তার কুকুরগুলো ওকে খাচ্ছে খুবলে
মদ্যপ পশুদের দল লাল জল খেয়ে ঘুমাবে
ওকে একটু জল দাও, ও শেষবারের মতো ঘুমাবে।