মহাশ্মশান জাগে
যখন আত্মবিশ্বাস জেগে ওঠে তীব্র সঙ্গীতে
মিথ্যার রাজপ্রাসাদ ভেঙে পড়ে চোখের সামনে।
সাতভাই চম্পা হয়ে ছুটে আসে অশোকের বাহিনী,
কালাপাহাড় আসে চেঙ্গিসি তেজে, বীর-বীরত্বে।
বিদ্যাধরী তীরে সাধক গোরাচাঁদ,
প্রাণ বিসর্জন দেয় নরবলি ঠেকাতে।
সভ্যতার বরপুত্ররা জেগে ওঠে একসাথে….
রাজকুমার, কৃষাণ-কিষাণী, গান গেয়ে জাগিয়ে তোলে ধরিত্রী।
বাঁশের কেল্লার মিনারে দাঁড়িয়ে যায় শহীদের ছেলেরা
ধ্যান ভেঙে ন্যায়ের তরবারি হাতে তুলে নেয় যুগের বুদ্ধদেব ।
ভীমা কোরেগাঁও উত্তাল করে ছুটে আসে রণরঙ্গীণী মাহার সেনারা
পারাস্ত হয় লুটেরা আর্যের দল।
আরাকান পর্বতমালা কেঁপে ওঠে নজরুলের গানে,
লক্ষ্মীবাঈ ও বেগম হজরত মহল
ঘোমটা ছিঁড়ে উঁচিয়ে ধরে জয়মন্ত্রের পতাকা।
সেই আহ্বান আমি শুনতে পাচ্ছি কবি —
বার বার কেঁপে উঠছে বখতিয়ারের কবরের ধূসর মাটি
সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রায় মিশে যাচ্ছে
ভীমা কোরেগাঁওয়ের জল…
তাজমহলের পাথর ভেঙে বেরিয়ে আসছে অনন্ত প্রেম
সেই আত্মবিশ্বাসে জেগে উঠছে মহাশ্মশান।