১. ইচ্ছে -ভোর
বৃষ্টি নামা আবছা সকাল
দৌড়ে পালায় শেডের নীচে
একলা চেয়ার ছোট্ট টেবিল
ইচ্ছে ভোরের স্বপ্নে বাঁচে ।।
বৃষ্টি নামে গাছের ঢালে
পাতার আড়াল দেয় খসিয়ে
নিঠাক সুরের ঠাসবুনোটে
ধূসর সবুজ দেয় ভিজিয়ে ।।
বৃষ্টি তখন কিশোরী ভোর
দুই বিনুনী ফ্রকের সাথে
ওড়না মাথায় ব্যস্ত পথে
পায়ের পাতায় পুরনো জোর ।।
পথের পাশে সবুজ গাড়ি
পথ ছাড়িয়ে দিচ্ছে পাড়ি
আমরা তখন আঙুল ধরে
ভিজতে চাওয়া রাই কিশোরী ।।
ভিজছি তখন আকাশ জুড়ে
পড়ার বইয়ে স্লেটের জলে
আবার কখন খেই হারিয়ে
ফিরছি মনের বাঁধন ঠেলে !!
বৃষ্টি এলে শিল্পতালুক
স্টেডিয়ামের বেড়ার ধারে
এলিয়ে পড়া ঝুমকোলতা
সুন্দরী হয় ফুল বাহারে ।।
চায়ের দোকান ভিজছে তখন
চা ফুটছে বেদম জোরে ,
কয়লা উনুন , ভাতের হাঁড়ি
পেট ভরানোর গল্প ধরে ।
গল্প ধরে চলন্ত বাস
মন চলে যায় মায়ের কাছে
বৃষ্টি ভেজা অন্য সকাল
পড়েই বাঁধা স্মৃতির কাছে ।।
সব পেরিয়ে মন হারিয়ে
ফিরতে থাকি ঘরের কাজে
আসল কথা হয় না বলা
অন্য কথায় এ মন সাজে !!
২. মেঘমুলুক
মেঘেদের বসতবাড়ি
রোজ হয় বৃষ্টিমুখর
আমরাও ক্লান্ত হলে
পাড়ি দিই ওদের সে ঘর
পাড়ি দিই মেঘের দেশে
আলো আর অন্ধকারে
গুঁড়ো গুঁড়ো ওই কুয়াশায়
আবছা পথের ধারে !
ফুটে থাকে অজস্র ফুল
পাহাড়ের কোলের কাছে
রাত হয় স্তব্ধ নিঝুম
অনুভব বুকের মাঝে !!
মেঘেরা দলবেঁধে যায় ,
ভোরবেলা সূর্য আসে
যাওয়া আর আসার মাঝে
কষ্টেরা হাওয়ায় ভাসে ।।
ভেসে যায় আবেগ ব্যাকুল
স্বপ্নে চাঁদের বাড়ি
মেঘেদের আনাচ কানাচ
পরে নেয় হাওয়ার শাড়ি ।।
সে শাড়ির ধূসর পাড়ে
স্মৃতি তোলে সুতোর বুটি
জলকণা বুকে নিয়েই
মেঘ হয় জমজমাটি ।।