Henry James (১৮৪৩-১৯১৬), হেনরি জেমস্, আমেরিকান-ব্রিটিশ লেখক, আমেরিকান সাহিত্যকে বাস্তববাদ থেকে আধুনিকতার যুগে নিয়ে আসেন। তার লেখায় আমেরিকার ব্রিটিশ ও অন্যান্য ইউরোপিয়ান ইমিগ্রান্টদের সামাজিক ও বৈবাহিক জীবনের জটিলতা আর সমস্যার অভিনব বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন The Portrait of a Lady, The Ambassadors, The Wings of the Dove ও The Golden Bowl. তার গল্পের বিভিন্ন চরিত্রের মানসিক দ্বিধা আর অসঙ্গত অভিপ্রায় এবং তার সামাজিক প্রতিক্রিয়া এক ভিন্ন স্বাদ নিয়ে আসে আমেরিকার সাহিত্যে যা পূর্ববর্তী লেখকদের লেখায় প্রায় অনুপস্থিত ছিল।
The Portrait of a Lady (১৮৮১)বইটির কথাই ধরা যাক। হেনরির ভীষণ জনপ্রিয় এই নভেলে এক তেজস্বী আমেরিকান যুবতী Isabel Archer তার গতানুগতিক ভবিতব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চায়। পিতার মৃত্যুর পর পারিবারিক সূত্রে সে বিশাল সম্পত্তির মালিক, নিউ ইয়র্ক স্টেটের Albany শহরের অধিবাসী। কাকিমার আমন্ত্রণে সে ইংল্যান্ডে কাকা Daniel Touchettএর এস্টেটে বেড়াতে যায়। সেখানে পঙ্গু ভাইপো Ralph Touchett আর কাকার শক্তসমর্থ প্রতিবেশী Lord Warburtonএর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই Warburton মানুষটি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলে Isabel তা সরাসরি নাকচ করে দেয়। Boston শহরের এক ধনী কারখানার মালিকের ছেলে Casper বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এলে নিজের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য Isabel তাকেও না করে দেয়। কাকার মৃত্যুর পর তার উইল অনুযায়ী Ralph তাদের এস্টেটর ভার Isabelএর হাতে তুলে দেয়। কিছুদিন বাদে ইউরোপ বেড়াবার সময় ইতালির Florence শহরে Isabel এক প্রবাসী আমেরিকান Gilbert Osmondএর সাথে পরিচয়ের পর তাকে বিয়ে করে ও দুজনে Romeএ বাসা বাঁধে। অচিরেই Osmondএর অপরিমিত দম্ভ আর Isabelএর প্রতি তার উপেক্ষা বিবাহজিবন দুর্বিষহ করে তোলে। কিন্তু Isabel স্বামীর তার আগের বিয়ের কন্যা Pansyকে ভালবেসে ফেলে এবং তাকে তার প্রেমিক Edwardএর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাবে সায় দেয়। Edward গরীব শিল্পী মানুষ, দাম্ভিক Osmondএর পছন্দ নয়, সে Pansyর সাথে সেই Lord Warburtonএর বিয়ে দিতে চায়। স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া চরমে ওঠে। তার ওপর Isabel Touchett-এস্টেটে মরণাপন্ন Ralphকে দেখতে যেতে চাইলে Osmond বেঁকে বসে। Isabel জানতে পারে যে Pansy আসলে Warburtonএর প্রতিবেশী Madame Merle আর Osmondএর অবৈধ সন্তান, আর এই কুচক্রী মহিলাই Osmond আর Isabelএর বিয়ের চক্রান্ত করে। শুধু তাই নয়, Warburton এই বিয়ের সূত্রেই আবার Isabelএর কাছে আসতে চায়। এরপর স্বামীকে না জানিয়ে Isabel ইংল্যান্ডে পঙ্গু Ralphকে দেখতে যায় আর সেখানে Ralphএর মৃত্যু পর্যন্ত থেকে যায়। এই সময় Casper Isabelকে আবার অনুরোধ করে Osmondকে ছেড়ে আসার জন্য, কিন্তু পরের দিন আচমকা Casperকে আমি রোম যাচ্ছি বলে Isabel কোথাও উধাও হয়ে যায়। গল্প এখানেই শেষ, পাঠকের সামনে দুটি option, Isabel কি Pansyর মুখের দিকে তাকিয়ে Osmondএর কাছে ফিরে গেলো তার অসুখী বিবাহিত জীবনে না কি Pansyকে নিয়ে সে আমেরিকায় পালিয়ে গেলো Osmondএর থেকে অনেক দূরে? স্বাধীনচেতা নারীর তৎকালীন সমাজে যে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো তার এক অপরূপ নিদর্শন রয়েছে এই বইটিতে।
The Wings of the Dove (১৯০২) বইটিতে লন্ডন শহরের Kate Croy নামের এক যুবতির গল্প বলা হয়েছে। Kate তার জাঁদরেল ধনী কাকিমা Maudএর তত্ত্বাবধানে থাকে। Kateএর মা আর তার চরিত্রহীন স্বামী Lionelএর মৃত্যুর পর অসহায় Kateকে Maud তার কাছে নিয়ে আসে আর কোন ধনী ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে দিয়ে চায়। Maudএর বন্ধু Lord Mark বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করে কিন্তু Kate গোপনে এক অবস্থাহীন সাংবাদিক Mertonকে ভালবাসে। Merton লোকের নোংরা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর সংবাদপত্রকে সরবরাহ করে। সে Kateকে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। Maud ব্যাপারটা জানতে পেরে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিয়ে Kateকে নিরস্ত করে। কয়েক মাস পরে এক ডিনার পার্টিতে Kateএর সাথে এক অপরূপ সুন্দরী ধনী আমেরিকান মহিলা Milly আর তার সহচরী Susanএর পরিচয় হয়। Milly আর Kateএর ঘনিষ্ঠতা ক্রমে দৃঢ় হয়ে ওঠে। কিছুদিন বাদে Milly Kate আর Susanকে নিয়ে ইতালির Venice শহরে বেড়াতে যাবার প্ল্যান করার সময় Lord Mark গোপনে Kateকে জানায় যে Milly এক কঠিন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত এবং Mark তাকে বিয়ে করে তার নিজের এস্টেট বাঁচাতে চায়। Veniceএ তিন বন্ধু আসার পর চতুর Mertonও এসে হাজির হয়। ক্রমে Milly Mertonএর প্রেমে পড়ে যায় আর Kate সুযোগ বুঝে প্ল্যান করে যাতে Millyর মৃত্যুর পর Millyর সম্পত্তি Mertonএর হস্তগত হয়। যদিও প্ল্যান ঠিক মতই এগোয়, Miily আর Mertonএর প্রেম Kate কে ঈর্ষান্বিত করে। সে একরাতে Mertonকে তার বিছানায় নিয়ে আসে। Milly এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে Kate প্রশ্ন এড়িয়ে যায় আর তার প্ল্যান পাকা করার জন্য গোপনে Venice ছেড়ে চলে যায়। এদিকে Millyর যত শরীর খারাপ হয় সে তত Mertonএর প্রেমে পড়ে। আর একদিন Veniceএর এক কাফেতে Mertonএর সাথে Lord Markএর দেখা হয়। Mertonএর ভয় বাড়ে যখন Susan তাকে জানায় যে Kate তার প্লান Lord Markকে বলে দিয়ে গেছে যাতে Mertonএর ইচ্ছে পূর্ণ না হয়। সব জানতে পেরেও Milly Merton আর Kateকে ক্ষমা করে। এর কয়েকদিন পর Milly মারা যায়। Merton লন্ডনে ফিরে এলে Kate তার সাথে দেখা করে জানতে চায় কেন সে Kateএর সঙ্গে দেখা করে নি। তখন সে জানতে পারে যে Milly Mertonকে তার সম্পত্তির সিংহভাগ দিয়ে গেছে। কিন্তু Merton Kateকে জানায় Millyর সম্পত্তি সে নেবে না আর কেবলমাত্র সে Kateকে তাদের পুরনো ভালবাসার ভিত্তিতেই বিয়ে করতে চায়। Kateও তখন জানায় যে সে Mertonকে বিয়ে করবে যদি সে Millyকে পুরোপুরি ভুলে যায়। কিন্তু Merton সেই শর্তে রাজি হয় না আর Kate তার সব প্ল্যান বানচাল দেখে ভগ্নমনে বিদায় নেয়। Merton Millyর স্মৃতি আঁকড়ে Veniceএ ফিরে যায়। New York Timesএর মতে হেনরি জেমসের এই বইটি “This story conveys an intimation of what values count the most, of what really matters, but it is also far too intelligent and sympathetic to human frailty to spell them out”! ১৯৯৭ সালে এই বইয়ের গল্পটি ডিরেক্টার Iain Softleyএর পরিচালনায় একই নামে চলচিত্রে রূপায়িত হলে চলচিত্রটি একাডেমী পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।
সম্ভ্রান্ত পরিবারের সম্পত্তির আকর্ষণ, ধনী মহিলার গরীব প্রেমিকের প্রতি অন্ধ ভালবাসা, আর চতুর মানুষের সহজ সরল মানুষকে প্রতারণা করার ঘটনা প্রায়শই হেনরি জেমসের লেখায় হাজির হয়েছে। ১৮৮০ সালে প্রকাশিত Washington Square বইটি তার এক আদর্শ উদাহরণ। গল্পটির চিত্ররূপ The Heiress ১৯৪৯ সালে একাডেমীর Oscar পুরস্কার পায়। এই গল্পে এক ধনী পিতা তার সরলমনা কন্যার প্রেমিককে দূরে সরানোর প্রচেষ্টায় ব্যস্ত, কারণ সেই প্রেমিকের লক্ষ্য তার ধনসম্পত্তি। লেখায় কোন রকম দোষারোপে না করেও হেনরি মানুষের চরিত্রের গোপন ইচ্ছা অনিচ্ছা, নিজের কার্যকলাপের যৌক্তিকতা, আর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তে পৌছনোর প্রচেষ্টার বিশ্লেষণ করেছেন। গল্পের সময় ১৮৪০ সাল, নিউ ইয়র্ক শহরের Washington Squareএ এক সরল অন্তর্মুখী যুবতি Catherine Sloper তার ডাক্তার পিতার সাথে থাকে। স্ত্রী ও পুত্র মারা যাবার পর ডাক্তার Sloper তার কন্যাকে নিজের বিধবা বোনের সাহায্যে বড় করে তোলেন। তিনি কন্যার ব্যাক্তিত্ব বা রূপ নিয়ে খুশি নন যদিও সেকথা কখনো তিনি কন্যাকে জানাননি। Catherineএর এক আত্মীয়া Marianএর এনগেজমেন্ট পার্টিতে ভাবী স্বামী Arthur Townsendএর ভাইপো Morris নামের এক সুপুরুষের সাথে Catherineএর পরিচয় হয় ও অল্প সময়ের মধ্যেই সে তার প্রেমে পড়ে যায়। ডাক্তার Sloper এই প্রেমের ভীষণ বিরোধী, কারণ তিনি বোঝেন যে Arthur Morrisকে ব্যবহার করছে, তার লক্ষ্য ডাক্তারের ধন সম্পত্তি। পিতার আদেশ অগ্রাহ্য করে Arthurএর প্ররোচনায় Catherine সেই Morrisএর সাথে এনগেজমেন্ট করার পর ডাক্তার Catherineকে নিয়ে ইউরোপে চলে যান। সেখানে পিতার অনেক অনুরোধ আর শাসানির পরও Catherine Morrisকে ছাড়তে রাজি হয় না। অগত্যা নিউ ইয়র্কে ফিরে এসে ডাক্তার Sloper কন্যাকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার শাসানি দিলে Arthur সব কিছু থেকে চুপচাপ দূরে সরে যায় কারণ তার হয়ত লক্ষ্য ছিল শুধু ডাক্তারের সম্পত্তি। এই সব ঘটনার পর Catherine বিয়ের আশা ত্যাগ করে একাই নিজের জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সে মন দেয় অসুস্থ পিতার সেবা আর বিভিন্ন দানধ্যানে। কিন্তু ডাক্তার Sloper তাও তার নিজের কন্যাকে বিশ্বাস করেন না এবং Arthurএর শয়তানি প্রতিরোধ করার জন্য Catherineকে সম্পত্তির এক ছোট অংশ লিখে দিয়ে যান। ডাক্তার মারা যাওয়ার পর Arthur আর একবার Catherineএর কাছে আসে, কিন্তু বর্ষীয়সী Catherine তাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে আর একাই Washington Squareএ নিজের জীবন কাটায়। গল্পের শেষে এই প্রশ্নই থেকে যায় যে Catherineএর প্রত্যাখ্যান সত্যিই কি tragedy এড়াতে পারলো?
হেনরি জেমস কয়েকটি ভুতের গল্প আর The Turn of the Screw (১৮৭৭) নামের এক gothic novellaও লেখেন। ভুতের গল্পের মধ্যে The Jolly Corner গল্পটি অন্যতম। এই গল্পে Spencer Brydon নামের এক যুবক নিউ ইয়র্ক শহরে তার শৈশবে যে বাড়িতে বড় হয়েছিল সেখানে আবার ৩৩ বছর বাদে ফিরে এসেছে। এই পৈত্রিক বাড়ির নাম The Jolly Corner। বর্তমানে বাড়িটি পরিত্যক্ত, আর ভেঙ্গে পড়ার মুখে। পাশাপাশি দুটো ভগ্নপ্রায় বাড়ি ভেঙ্গে নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরির কথা হচ্ছে। বাড়িতে ঢুকে Spencerএর হঠাৎ ধারনা হয় যে সে এই ব্যাপারে বেশ পটু, সেই এই projectএর ভার নেবে। পুরনো বন্ধু Aliceএর সাথে সে পুনরায় যোগাযোগ করে। Spencer ভাবতে শুরু করে যদি সে তার জীবনের পুরোটাই নিউ ইয়র্ক শহরে থাকতো তাহলে তার জীবন কেমন হতো। রাতের অন্ধকারে ভাঙ্গা বাড়ির মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর সময় সে তার এই নিজের দ্বিতীয় সত্তাকে (alter ego) খুঁজে পায়। সে বিশ্বাস করতে শুরু করে যে সে প্রকৃতপক্ষে এক চতুর ব্যবসায়ী, সে আক্ষেপ করে যদি জীবনের প্রথম দিকে আলসেমির বদলে সে অর্থ উপার্জনকেই তার লক্ষ্য করে নিত! Alice, যে সারা জীবন নিউ ইয়র্কেই সময় কাটিয়েছে, সেও তার সাথে এই আলোচনায় যোগ দেয়। ক্রমে Spencer বিশ্বাস করতে শুরু করে যে তার ওই alter ego ভুত তাকে এই Jolly Corner বাড়িতেই ভর করেছে। সে তাকে খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পরে। আচমকা এক রাতে ঘোরের মধ্যে সেই ভাঙ্গা বাড়ির অন্ধকারে তার সেই দ্বিতীয় সত্তার ভুতের সাথে দেখা হয়। ভয়ংকর সেই ভুতের শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের সামনে Spencerএর নিজের সাধাসিধে ব্যক্তিত্ব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। সম্মোহিনি অন্ধকার কেটে গেলে Spencer দেখে যে সে Aliceএর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে। গল্প এখানেই শেষ, এখন প্রশ্ন হোল Spencer ওই মোকাবিলায় কি অজ্ঞান হয়ে পরেছিল না কি সে প্রাণ হারিয়ে তার পরের জন্মে জেগে উঠেছে? Alice আসলে বিপদের আশঙ্কায় সেই রাত্রে Spencerকে খুঁজতে এসেছিল ওই বাড়িতে। তবে এখন সে চতুর ব্যবসায়ী Spencerএর সঙ্গিনী!
নিবন্ধের শেষে উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে লেখকের জীবনের প্রথম দিকের সাথে একটু পরিচয় হওয়া দরকার। হেনরি জেমস আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে ১৮৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আর তার শৈশব কাটে নিউ ইয়র্ক আর তার ঠাকুরদার Albanyর বাড়িতে। ব্যবসায়ের কাজে তার পরিবার প্রায়ই ইউরোপে দীর্ঘ সময় কাটায় এবং হেনরি বাড়িতে টিউটরের কাছে পড়াশোনা করেন। ১৮৬৪ সালে জেমস পরিবার Bostonএ বাস করা শুরু করার সময় হেনরি Harvard Law Schoolএ ভর্তি হন। কিন্তু আইন ভালো না লাগায় হেনরি সাহিত্য নিয়ে তার শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। তার প্রথম বই Watch and Ward ধারাবাহিক ভাবে Atlantic Monthly পত্রিকায় এই সময় প্রকাশিত হয়। বইটি পরে ১৮৭৮ সালে বই হিশেবে প্রকাশিত হয়। ১৮৭০ শতকে হেনরি তার ইউরোপের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা A Passionate Pilgrim আর Roderick Hudson নামের দুটি বইয়ে লিপিবদ্ধ করেন। হেনরির প্রথম লেখক জীবনের প্রেরণা ছিলেন আমেরিকার সেই সময়ের এক প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক Nathaniel Hawthorne।
হেনরি জেমসের বইয়ের তালিকা বেশ লম্বা। নামকরা কয়েকটি বইয়ের নাম, The American (১৮৭৭), The Europeans (১৮৭৮), Hawthorne (জীবনী, ১৮৭৯), The Turn of the Screw (১৮৭৭), Washington Square (১৮৮১), The Aspen Papers (১৮৮৭), The Awkward Age (১৮৯৯), আর A Small Boy and Others (১৯১৩, আত্মজীবনী). জীবনের শেষ দিকে হেনরির বেশির ভাগ সময় কাটে ইংল্যান্ডে। মৃত্যুর এক বছর আগে ১৯১৫ সালে তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।