দুটি কবিতা:
১. কুয়াশা ফেরি
আমরা গার্হস্থ মানুষ
কুয়াশার বীজ ছড়িয়ে দিয়েছি।
পারাপারে দাঁড়িয়ে দেখোনি?
শান্ত জ্বরের অক্ষর জেগে আছে বৃষ্টির অলস দিনে
একা এভাবেই কেঁপে ওঠে
পাতার টুপটাপ
ওই যে রক্তাল্পতার অসুখ আসবাবঘন তামাম আদর তারপরেও বিকেলের নদী থেকে অলীক রাজ্যপাটের সিংহাসন বানায় মেয়েটি
ঘরে বর্ষাশেষের স্যাঁতসেঁতে ব্যাকরণ,
পার্বত্য অনুবাদের মত বাড়িটি দাঁড়িয়ে, সমস্ত শীত জমা দিতে
পারাপারে আসে সেও, হয়তো খেয়াল করোনি
২. হাওয়া-ঘর
একটি বেঁচে থাকা সমর্পিত হয়ে যায়।
সে ও অনুগত নরম অথবা ভুল
সীমানার অধিকৃত গন্ধে
দিনবদলের আয়না আছে তার
সৈকতের যাপন টিকিটও
বাতাসের রিংটোন লেখা পিডিএফ
লুটোপুটি খেলে মানুষের সামগ্রিক ছায়া আবছা