কবিতা: মেটেরিয়া মেডিকা
মেটেরিয়া মেডিকা
কবিতার পরাক্রম বুঝবো বলে পাতা ওল্টাছিলাম
এক একটা শব্দের তির উড়ে আসছিল
আমি ডানদিক বাঁদিক করতে করতে এগোচ্ছিলাম
শরীরে চামড়া বেঁধেছিলাম
আর রক্তমাংস নিরেট করেছিলাম
কোন তিরই আমাকে বিঁধতে পারছিল না
ভৃগু কবির পাঁচালিতে দ্রোহ বুঝছিলাম
ঘরে বাইরে আর শেষের কবিতায় প্রেম
রবীন্দ্রনাথে আমার হৃদয়ের আর্তি ধরে ফেলছিলাম
নজরুলে আমার বাগযন্ত্রের বিষ উগলে উঠছিল
গরল অন্ধকার নীরবতা আর আনন্দ মিলেমিশে
আমার ভেতরে জন্ম নিচ্ছিল কোলাহল
তৎক্ষণাৎ থামিয়ে পোটেন্সির শক্তি বাড়িয়ে নিলাম
একটা স্থির অলৌকিক হৃদয়ের জন্ম হচ্ছিল
আকাশে তখন অবাধ নীলের পরিক্রমা
দিগন্ত চোখের সামনে খুলে দিচ্ছিল আহ্বান
সঞ্চয়িতা আর সঞ্চিতার একটি একটি পাতা থেকে
ক্রমশঃ আমি ক্রমবিকাশে যাচ্ছিলাম