বুদ্ধিজীবী! বুদ্ধিজীবী! বুদ্ধি তোমার কই?
দুর্বুদ্ধি দেখে তোমার অবাক হয়ে রই!
গাছের খাও তলার কুড়াও এইতো তোমার রীতি,
বদ বুদ্ধির পাহাড় তোমার কোথায় বিবেক- নীতি?
‘মেয়েরা খুন- ধর্ষিতা হবে না,না বেরোলেই রাতে,
বাইরে না বেরোলেও নারী থাকবে দুধে- ভাতে।’
যত সহজ পন্থা তোমার মাথা থেকেই আসে,
‘অপদার্থ’ বলি তোমায় বলো সে কোন সাহসে?
দিকে দিকে যখন যায় শোনা ঐ নারীদের আর্তনাদ,
বুদ্ধির ঘরে তালা দিয়ে থাকো ঠুঁটোজগন্নাথ।
শত অন্যায়েও নীরব তুমি,খোঁজ কেবল স্বার্থ;
বুদ্ধিজীবী করলে প্রমাণ বুদ্ধিতে অপদার্থ!
নইলে কি আর বলতে পারো:’বিক্ষিপ্ত ঘটনা!’
যা ঘটছে তা সবিই ঐ ‘অপপ্রচার- রটনা!’
বুদ্ধিজীবী? তোমার বুদ্ধিতে কি জনতা ভরসা পায়?
দুর্বুদ্ধি, বদ-বুদ্ধিতে যত ধর্ষক ছাড়া পায়।
বুদ্ধিজীবী ভাত ঘুমে আজ,মূল্যবোধ তুলে লাটে;
শুধু নিরাপত্তার খোঁজে নারীরা আজ বারুদ বুকে হাঁটে!
তোমার বুদ্ধির তোয়াক্কা না করে নারী চায় দখলে রাত;
দু’চোখে মশাল জ্বেলে দাঁড়িয়ে ঐ শতশত মৌমিতা দেবনাথ।