রহিত ঘোষাল
তোমার অঙ্গীকার দেখে শিউরে উঠছে
শেষ বিকেলের আলো,
পুরনো প্রেমিকার কথা ভাবতে ভাবতে
বিস্মৃতির মউত চুপিচুপি আসে।
শিয়াদের প্রার্থনার গান একঘেয়ে
শহরে সন্ধে নামায়,
বর্ণনার মতো চা’য়ের দোকানগুলো
বসে আছে কেটলি আর পোড়া
দেশলাই কাঠি বানের জলের সাথে
ভেসে যাচ্ছে,
আমি এখনো দাঁড়িয়ে আছি
গতশতাব্দীর আঙুরখেতে,
গণ্ডগ্রামের কবরস্থান, সুষুপ্তি,
মগ্নব্রত মধ্যবিত্ত আবাসিক এলাকা
আমি এখনো দাঁড়িয়ে আছি ।।
অসীম অরণ্যের গ্লানি
আড়ালে কেঁদে ওঠে,
তখনই আমরা গোরের মাটি
কপালে ছোঁয়াই,
আমাদের শরীরে ঘাস গজায়,
খাঁড়ি থেকে বিবমিষা
চুম্বক পাথর ছুঁয়ে ফেলে,
শলাকা দিয়ে তৈরি কল্পনার ঘর,
রজতবর্ণ জিভ আমাদের শয্যাসহচরীর,
কোলাহলকরোজ্জ্বল জীবন আমাদের
আগরবাতির মতো কিসমত
দাগড়া-দাগড়া হয়ে আছে।।
অহেতুক সব মরা ঘাস
ক্ষুদ্র চোখ দিয়ে গুনতে যাই,
চুনের ভয়ংকর ঝাঁঝ,
করোটি সব খণ্ডিত,
রগরগে দৃশ্যের ভ্রম,
কিছু বাতিল মেয়েদের জীর্ণ
গলার স্বর, তিষ্ঠোয়,
বাকিরা সব মূর্ছা গেছে,
বন্যার পানি রাক্ষসী রূপে
কাচের গুঁড়ো হয়ে যায়
ছলোচ্ছল,
আর ইস্পাত থাকতে চাই না
হতে চাই তরল,
এইবারের এই পুষ্করিণী জন্ম,
কুণ্ডলিত শস্য রাখা মাঠ জন্ম,
কুমারী মেয়ের পেটে ভ্রূণ জন্ম।
পরের জন্মে ঝর্না হয়ে জন্ম নেব,
জন্ম নেব সুন্দরীর স্নানঘর হয়ে।।