পোড়া হৃদয়
রিমঝিম বৃষ্টি
ঝমঝম বাজনা ছাদের টিনে
আকাশটা ভাঙছে যেনো একটানা
বাইরে হাওয়া
কাঁপছে শরীর
তবু বেরিয়ে পড়ি বৃষ্টির ভেতর
মেঘ ডাকে। সারাদিন ভিজি। বৃষ্টি থৈ থৈ
বৃষ্টি এলে ভাবি তোমার কথা
বৃষ্টি এলেই ভাবি এই বুঝি তুমি এলে
অথচ তুমি আসো না
আমার বুকের ভেতর খরা। পোড়ে সাহারা
আজও তোমাকে বুঝি না
বৃষ্টিকে বুঝলেও তোমাকে বুঝতে পারি না
অথচ তুমি মাঝে মাঝে বৃষ্টি হও
কখনো ভিজিয়ে দাও আমার আগুন পোড়া হৃদয়
বর্ষা
তোমাকে চেয়েছি কতোবার
আজও তোমাকে না দেখলে মৃত্যু গুণি
তুমি কাছে এলে ভুলে যাই বিষাদ
বুকের মরুভূমি হয়ে ওঠে এক মস্ত সরোবর
সরোবরে বর্ষা নামলে তোমার গন্ধ পাই
জলে নামি। তোমাকে ছুঁয়ে দেখি
তুমি বর্ষা। তুমি জল থৈ থৈ
স্বপ্নগুলো সাজাই
বর্ষার জলে ভেসে যায় রাত
তোমার জলছবি তুলে রাখি উছল বুকের ভেতর
তুমি জল
তোমার দুঠোঁট ভরে চুমু দিই
তুমি গলে যাও জলের মত। হয়ে ওঠো নদী
তুমি কখনো জলে জলময়। তুমি হাসাও কাঁদাও
তুমি ভেসে যাও সুদূর মোহনায়
তোমার জন্যে অপেক্ষা করি। অপেক্ষা সারা জীবন
তুমি
তোমার জন্যে কবিতা লিখি
তোমার জন্যে আঁকি বর্ষা
তোমার জন্যে তুলে রাখি জীবন মরণ
ফুলে ফুলে সাজাই কথা
জলে জলে সাজাই বর্ষা
তুমি ভিজতে ভিজতে ফিরে আসো আমার উঠোনে
তোমাকে দেখি
ভেজা কাপড়ে ফুটে ওঠে তোমার স্তনযুগল
যোনিদেশ
ঠিক যেনো কাঞ্চনজঙ্ঘা
ঠিক যেনো মায়ানগর
বর্ষা বর্ষা বর্ষা
তুমি অপরূপা
তোমার রূপে আমি ডুবি উঠি। বর্ষা হই
তুমি জলে মিশে যাও। তোমাকে খুঁজে পাই না