বিরহের বৃষ্টি
ওই ডাকে গুরুগুরু শব্দে ডমরু ঝংকার আষাঢ় মাসের শ্যামলাবরণ মেঘ,
রিনিঝিনি শব্দে বাজিছে যেন প্রেয়সীর নুপূরের ঝংকারে আষাঢ়ের মেঘ।
উত্তাল হাওয়ায় উড়ছে যেন পাগলীনির খোলা কেশ,
ছুটে চলে আষাঢ়ের মেঘ উড়িয়ে শাড়ীর আঁচল চলেছে ছুটে পবন দেব।
আষাঢ়ের বৃষ্টিতে তোমার প্রথম পরশ মেখে গায়ে ,
মনে হয় যেন আছে প্রিয়ার আলতো আদর খানি ছুঁয়ে।
বৃষ্টি তোমার নীল আকাশ থেকে ফুলের মতন ঝড়ে পড়া,
মনে হয় যেন প্রিয়ার বিরহে কেঁদে ঝরে পড়ে অঝোরধারায় বরষনধারা।
আষাঢ়ের মেঘ নীল আকাশের তুমি যে তার যুগ যুগান্তরের অর্ধাঙ্গীনি,
আনন্দে তুমি ভেসে চলো ধরে প্রিয় নীল আকাশের হাতখানি ।
অঝোরধারায় তুমি ঝরে দিয়েছো মনে কত যে আনন্দ
তোমার ভালোবাসার আশায় ছিলাম বসে কতকাল কতযুগ অবিশ্রান্ত।
টুপটাপ, টিপটাপ, কখনো আবার অঝোরধারায় আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ধরিত্রী হয়েছে শান্ত,
তুমি অপরূপা তুমিই তো অনন্যা সুন্দরী আষাঢ়ের শ্যামলাবরণ মেঘ রামধনু বর্ণা।
বরষণ ধারায় পড়ে মনে প্রিয়ার ওই চোখের গভীরতা,
বিরহ ব্যাথায় কাটে না এই বরষণ বাদল মুখর দিনের ব্যাথা।
পোড়ো না আর ঝরে বাদলের এই ঝরণা,
প্রিয়া বিরহে কাটে না যে রাত গভীর যন্ত্রণা।
তার ওই তীর হানা চোখের চাহনি,
ভুলতে যে দেয় না বর্ষা মুখর রাত্রিখানি ।।
আষাঢ়ের এই রূপ ঝরে পড়ে প্রকৃতির বুকে, মানুষের মনে। অপুর্ব লেখা।