রানি মজুমদার
তৃতীয় লিঙ্গের লেখিকা
বরং জীবন বুঝবো মৃত্যু পর্যন্ত। ডুব দেবো তল নাই যেখানে। উচ্চতা ছড়ানো যতদূর ভাবা যায়। সে আনন্দ ধরে রাখা দায়। ধরাতলে ঠেক নেই, মন উড়উড় ঘুরঘুর।
আমার স্পর্শ দেওয়ালে দেওয়ালে… নত সেই চৌকাঠে…। স্মরণে মননে সেই অমৃত আজও সকলের জীবন যন্ত্রণায় আরোগ্য- পথ। শুধু তাঁকে চেনা, তাঁকে চেনা, আর তাঁর কথা শোনা। আমিও মেয়ে হারা এক উদ্ভ্রান্ত জননী! তোমার কক্ষে বসে আজও তুমি কইছ আমি শুনছি। আমি শান্তির পথে আরোগ্যের পথে…..।
আনন্দধারা বহিছে ভুবনে তবে কাঁদছিস কেন পাগলী? ঠিক সেই জায়গায় যখন, সদা দীপ্ত রহে অক্ষয় জ্যোতি! এক হাত উঁচিয়ে এক অতিকায় আশ্রয়! সেই অনন্ত পথে সব যন্ত্রণা ক্ষুদ্র… এরপর? আবারও সদা দীপ্ত রহে অক্ষয় জ্যোতি! বার বার সেই জ্যোতিতে ঘোরাফেরা,বাকি মিথ্যে। আবার কান্না? এ কোন অনন্ত পথের খোঁজ? একটা নেশার মত আনন্দ! একটা আনন্দের মত ঘোর। আশ্রয় পেয়েছি তবে। শূন্য জীবনে দুঃখ কই ?? হাতে তেল মেখে কাঁঠাল ভাঙা! এরপর যন্ত্রণা নেই। ভয় নেই। এই সত্য!