নির্জন পাহাড়ের কোলে বহে চলা স্রোতস্বিনী নদী
আপন খেয়ালে কখনও শান্ত কখনও বা রুদ্র রূপে।
ভেসে চলা দূর্জয় পাহাড়ের আঁকা বাঁকা পথ
আপন খেয়ালে এগিয়ে চলে একদিন মিশে যায় সাগরে।
বরফ গলা শীতল জল ছুঁয়ে যায় দেবতার ভূমি
জীবন অমৃত হয় খর শ্রোতা অমৃত ধারায়।
পূণ্য লগ্নে পূর্ণ ধারায় সুচিশুদ্ধ নীরব পৃথিবী আলোক
নতুনের গর্ভ ধারণ পুরাতন ইতিহাস গভীরে হারায়।
নদী পারে নির্জন অরণ্যে চুপি চুপি কিছু কিছু কথা
শুনে ফেলে নদিবুকে নেমে আসা সদা মেঘের দল।
ছায়া ঘেরা নীরবতা কথা দেয় একপাশে সবুজ বনানী
নীল আকাশের ছবি বুকে সরল বিশ্বাসে স্বচ্ছ নদীজল।
রাতের করুন কান্না হিমশীতল কুয়াশায় ঝরা পাতার ডালে
নীরবতা গভীরে ভেঙে দিয়ে যায় বিশ্বাস ,অন্তরে হাহাকার।
শুকনো পাতার মর্মরে শোনা যায় গুমরে ওঠা প্রতিধ্বনি
দুঃখের দহনে স্রোতস্বিনী, মিথ্যার বেদনা আরো গভীরে বারবার।
অমৃতক্ষয় স্রোতস্বিনী ধীরগতি কাতর বেদনায় করে হাহাকার
বিষের ছোবল অবিরত নেমে আসা জলে মর্তের নরক দর্শন।
জাগে বিরহিণী করুন আঁখি তলে বারে বারে হারায় নিজেকে
কত যাতনার অশ্রুভরা ইতিহাস বহে চলে আকাশে অঝোর বর্ষণ।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই মাননীয় সম্পাদক মহাশয় কে আমার লেখা কবিতা টি নির্বাচিত করবার জন্য।