সুপ্রভাত মেট্যা
আমার কবিতা কথা বলে খুব সকালে
ধুলোর পায়ে পায়ে, এবং গাছের পাতায়।
গাছেরা শিক্ষিত হয়
অর্জিত সবুজ থেকে অক্ষর খুঁজে খুঁজে একটু একটু।
রাস্তা খুলে যায়। অন্ধকারের জট ছাড়িয়ে শুরু হয় জীবন।
খুঁটে খাওয়া পাখিদের আকাশনীলপালকের ডানায়
ভর করে পূর্বকৌণিকরোদ।
তবু আলো আর আসে না যেন!
আবছা ছায়ায় মুখ, একসময় নিজেকে দেখি জ্বরের মতো
জেগে ওঠে এই দুপুরবেলা।
রোজগারক্রমের শূন্য যেদিকে, সেইদিকে চলে যায় কথা।
ক্ষুধার্ত নুইয়ে পড়া পাতায় ছাপা হয় গনগনে আগুন আমার।
সেই খেতে না পাওয়া আমার কত যে সময়,
বয়সের ফাঁকে ফাঁকে, একা একা ফুঁপিয়ে কেঁদে যায়,
কেউ তার খোঁজ রাখেনি সে’দিন!
আমাকে কথা দিয়ে না রেখে চলে গেছে ,
সেই আলো, এখন বেশ হয়েছে,
এতটাই অন্ধকার যে তাকে আর চেনাই যায় না!
এ আমার খারাপীভাবের আঙুল উঁচানো, এমনটা ভেবো না তুমি।
তবে প্রচন্ড ঝড়ে, ঘাসের শরীরের যেমন কিছু যায় আসে না।
তেমনি মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা তালগাছকেও যে
অসহায় মনে হয় তখন, সেটারও জানা ভীষণ জরুরির!