আমি কী পুরুষ! অবলা! নাকি তৃতীয় লিঙ্গের জীব!!
ভাবছি গোধূলি লগ্নে এসে।
লুকোচুরি খেলছে স্মৃতি গোধূলির আবছা আলো আঁধারে।
ঘনায়মান আঁধারে কে যেন ফেলছে ঘাড়ে গাঢ় নিশ্বাস।
তাচ্ছিল্যের অট্টহাসি প্রতিধ্বনি শুনতে পাই মুমূর্ষু আত্মমর্যাদার কানে।
দুর-হ ব্যাটা এখান থেকে এক্ষুনি !!
ভাগ্যের পরিহাসে রক্তের সম্পর্কগুলো একটু একটু করে আড়ালে চলে যায় ঠিক যেন রবির পদাঙ্কনুসারে।
নিঃসঙ্গ একাকী প্রহর গুনি জীবন প্রাচীরের পড়ে থাকা এক কোনায় ভাঙ্গা ডাষ্টবিনের মতো।
গোধূলির অন্তিম লগ্নে ওই কুয়াশাচ্ছন্ন আঁধারে সহায়হীন প্রহর গুনি!
নির্লিপ্ত চোখে দেখি- দিগন্তের শেষ রেখায় উঁকিঝুঁকি মারছে আমার প্রাণের ক্ষুদ্র আশার আলো।
লোক লজ্জার ভয়ে, কিংবা ভদ্রতার খাতিরে দাক্ষিণ্য দেখায় ক্ষণিকের একফালি সেই বাঁকা চাঁদ।
নিশীথের দুর্ভেদ্য গাঢ় অন্ধকারে প্রশ্বাসের রসদ যোগায় পুটকি পুটকি সহৃদয় তারকাপুত্র।