কবিতা: সাগরের ডাক
সাগরের ডাক
চলো হেঁটে যাই সাগর সৈকতে,
ভীড়ের মধ্যে বড্ড একা লাগছে।
কল্লোলিনী শহর বড়ই স্বার্থপর,
এখানে গান আছে, সংগীত নেই,
প্রাণ আছে, তবু হৃদয় নেই।
হৃদয়হীন একদল লোকের সাথে,
এখুনি বিচ্ছেদ না হলে, তুমিও পাথর হয়ে যাবে,
শহরের দেওয়াল গুলির মতো।
তোমার অস্তিত্ব ধ্বসে পড়বে,
ঐ স্বার্থপর দেওয়ালগুলির পাদদেশে।
তোমার বেদনার সংগীত শোনার এখানে কেউ নেই,
এখনে নেই তোমার গল্প শোনার মতো কেউ।
প্রতিদিনের যাপিত জীবনে,
এদের মূঢ়তা কি তোমাকে ভীত করে না?
চলো ঝর্ণার কাছে যাই,
ওদের কাছে ছন্দ আছে, সংগীত আছে।
চলো অরণ্যের ছায়ায় কিছুক্ষণ হাঁটি,
ওখানে পাখির কুজন জাগিয়ে তুলবে তোমার কাব্যকে।
এই শহরের নির্মম অবহেলায়,
উপেক্ষা করে চলো, চলো বিকেল আসার আগেই,
সাগরের কাছে যাই।
সেখানে দিনান্তের সূর্যাস্তও কবিতা লেখে,
দুরন্ত বালুকাবেলায় ঝংকৃত হয় অপার্থিব প্রভাতের সংগীত।