রাতের নির্জনে
কোনও এক কৃষ্ণপক্ষের দীর্ঘতম রাতে অন্ধকারের গভীরে কম্পমান দীপশিখা জ্বলে, স্রোতে ভেসে যায় স্বপ্নের সাম্পান, বয়ে চলে বেগবতী আপন খেয়ালে, ভরা জোয়ারে তার বুক উথাল-পাতাল, মাটির দেহ জুড়ে জাগে মিলনের আকাঙ্খা, সত্তা ঢাকা পড়ে নিজের ছায়ায়। নিঃশ্বাসে বিষের বাষ্প, বৃষ্টির অন্তরঙ্গতায় মাটি ভেজে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, পায়ে পায়ে এগিয়ে আসে অনাগত বিধাতা – সময়ের সঙ্গে তার নিবিড় পরিচয়। যে মহাজাতক! জীবনের সাথে লড়তে গিয়ে পরাজয় স্বীকার করেছিল, তার চিন্তাধারা স্বভাবত বাস্তবের বিপরীত অভিমুখে হাঁটে – কিন্তু এখানেই স্বপ্নের অপমৃত্যু নয়, আত্মপ্রতারণার কষ্ট ভুলে গিয়ে নিজেকে সাক্ষী রেখে রাতের নির্জনে নেয় নতুন করে শুরু করার শপথ।