কবিতা: রন্দ্
রন্দ্
ভোর,সকালে
রোদ ঘুংরু পায়ে পায়রাগুলি
উঠোনে বক্ বকম্ করে বেড়াতো
তুয়া, দাদার মেয়ে
তখনো পা দুটি ভাষা শিখেনি
ফড়িং হয়ে কানাকানি
শাঁখ হাতে সন্ধ্যা
টোকার দীপকবাতি মা’র হাতে
বুকের মাটি ভাগ হয় কখনো?
হেঁসেলে, হেঁসেলে সুড়ঙ্গ পথ ছিল
মুখ বাঁধাবাঁধি ছিল না
হাসি কান্না ঢেউ বয়ে যেত
মেঘ বৃষ্টির গন্ধে জুড়ে যেত মন
কোনোদিন
হৃদয়ের রক্তপাত ঘটেনি
* রন্দ্ = রাঢ় বঙ্গীয় শব্দ; সীমানা পৃথক করার জন্য বাঁশ বা কঞ্চির বেড়া।