কাল থেকে একটা বাড়ি তৈরি করব ভাবছি।
একটা অসবর্ণ বাড়ি, বন্ধুর মতো।
নাম দেব বন্ধুর বাড়ি।
যেমন করে বন্ধুও রেখেছিল আনবিক।
শোঁ শোঁ বাতাস এসে চেয়ারে বসলে বন্ধু যেমন করে আগন্তুককে আত্মীয় মনে করে হৃদয় গচ্ছিত রাখে।
আজ এখানে কাল সেখানে প্রজাপতি উড়িয়ে দস্তুর কবিতা এসে সঙ্ঘবদ্ধ হয় খিলানের উপর।
মাটির বাড়ি যে এত সুন্দর হতে পারে ভেবে ভারি হিংসে করেছি।
আমার অ্যান্টিক দেওয়াল ধরে ততক্ষণ বাতাস এসেছে ঝুল বারান্দায়।
টুপ টুপ শুয়োঁপোকা ঝরে গেছে খিলান থেকে।
শত্রুরা ধাওয়া করবে বলে লিন্টন শক্ত করেছি। ঢালাই দিয়েছি।প্রতিটা ঘরের দেওয়ালের গাঁথনির মাপ ইঞ্চি দশেক।
মগজে বন্ধুত্বের ভাবনারা মরে গেছে একটু একটু করে।
শত্রু সজাগ।
ভয় সজাগ।
মাটির দেওয়াল থেকে বন্ধুত্বের লতাগুলো সবুজ সতেজ হলে ছাদ বাগানে চারা রোপণ করেছি।
কাল থেকে, পরশু থেকে গাছে গাছে কারা ফুল চুরি করে নিয়ে গেছে।
বন্ধুর মতো বন্ধুর বাড়ি তৈরির গোপন ঈর্ষায়।