সোমা ঘোষ মণিকা
সদর-ময়মনসিংহ। বাংলাদেশ
এইখানে এই অন্ধকার আগুনে
শতাব্দীর পান্ডুলিপির অস্তাচল চরে,
জেগে শেয়াল-মুখ
এক-ফালি চাঁদ মুমূর্ষ ব্রক্ষ্মপুত্রের বুক।
হিম-তামার পাখায় আগুন জ্বলে
ছাই এর স্তুপে আচ্ছাদিত নগরী,
ভেন্টিলেশনে নদের বুক কাঁপে।
সিন্নি দেবে: বাছুরের মুখ থেকে
শেষফোঁটা দুধটুকু বাঁচিয়ে-
মাজারে মাজারে জলসা জমে।
নগরীর অতন্দ্র চোখে আশার দীপ জ্বলে,
দিনের পরতে পরতে জমে
বিগত দেনার চর।
একদিন এই নদের বুকে-
নৌকাবাইচে হারিয়েছে কোন এক
বিধবা তাঁর শেষ ছেলেটিকে।
এখন ভরা শ্রাবণ –
পূর্ণশশী রাতের কালচে হিংসুক আকাশে,
এই নিশুতি রাত আছে একা জেগে,
সেই বিধবা দাঁড়িয়ে হাঁটুজলে
ব্রক্ষ্মপুত্রের রুগ্ন বুকে।
কোন অভিশাপে
নদী বিগত যৌবনা,
হাজার নদের বসন্তের হাটে?
পানকৌড়ির আর্তনাদ-
ঘুম ভাঙে নাগরীর
এখানে এই নদের বুকে,
কে ডেকেছে মাঘের সন্ন্যাসীকে?
ভরা ফাগুনে।
খুব তন্ময় হয়ে রইলো মন। রুগ্ন মাঘের সন্ন্যাসী ব্রাহ্মপুত্রের পটভূমিতে কবি মনের নিরাশা হতাশা প্রতিধ্বনিত হলো। খুব সুন্দর। — পাপিয়া অধিকারী