কবি হামিদুল ইসলামের তিনটি কবিতা:
১. তোমাকে খুঁজি
চোখের সামনে ঝরাপাতার কান্না শুনি
বৃষ্টি নেই কতোদিন
দূর থেকে ভেসে আসে হাহাকার
অ্যালকোহলের গন্ধ মাখে নিঃস্ব রাতের পান্থজন
রাত আসলে গন্ধ ছড়ায়
রাত আসলে বৃষ্টি
দুচোখ ভরে স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নে আঁকি তোমার জলছবি
সব ফেলে চলে আসি
পড়ে থাকে অনাদি সম্বল
কেবল দুঃখগুলো সারা জীবন ফেরি করি
বিকিকিনি নেই
ঝড় এলে মৃত্যু গুণি। মৃত্যুর মাঝে খুঁজি তোমায়
তুমি জীবন মৃত্যু। তুমি তুমিময়
তুমি বুকের মাঝে জেগে থাকো অনন্ত জীবন
২. ইচ্ছেনদী
যুদ্ধ আজও জগৎ জুড়ে
পৃথিবী জুড়ে মৃত্যুর মিছিল
তবু দুহাতে রক্ত মাখে মেঘভাঙা রোদ্দুর
ইচ্ছেনদী থেমে যায়
বুকের ভেতর শুকিয়ে ওঠে খরা
চলতে চলতে দেখে নিই বিভেদের নির্মম রক্তহোলি খেলা
জীবন এখন সংগ্রাম
মানুষ দুহাতে লোটে অন্ধসুখ
ফুটপাতে অনাথ শিশু আজও ক্ষুধা খুঁটে খায়
ঝড় আসলে বন্যা আসে
বন্যা আসলে জীবন জুড়ে মৃত্যুর গন্ধ ছড়ায়
হতাশ হই না। পাথরে ভাঙি বুক
৩. সমুদ্র
কবিতা লিখতে গিয়ে জীবন আঁকি
ভালোবাসায় ফুল আঁকি
তোমাকে লিখতে গিয়ে তোমার চোখ লিখি
মায়াগাছ জন্ম নেয় বুক বরাবর
পয়সা অচল হলে সংসার অচল
জীবন অচল হলে মৃত্যু কাছে আসে
মৃত্যুকে ছুঁই
মৃত্যু হাসে হি হি
ভয় পাই। গোরস্থান থেকে ফিরে আসি অতি কষ্টেই
কথা নেই কথা নেই
তবু তোমার জন্যে কথা রাখি
কথার মাঝে খুঁজি জীবন। খুঁজি তোমায়
তোমাকে খুঁজি। পাই না
তুমি ধরার মাঝে আজও দাও না ধরা
ধরাছোঁয়ার মাঝে জীবন ডোবে সমুদ্র জানালায়
_______________________________
কবি ও সম্পাদক:
হামিদুল ইসলাম
গ্রাম + পোস্ট = কুমারগঞ্জ।
জেলা = দক্ষিণ দিনাজপুর।